লকডাউনের সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে এতেকাফ পালনের আহ্বান আমীরে শরীয়ত মাওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের ।

আন্তর্জাতিক চোরাকারবারই হচ্ছে বৃহত্তর লাফাশাইল গ্রামের উন্নয়নের অন্তরায় ।

ভারত বিভাজনের সময়ে বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা উড্ডীন হয়েছিল । যাইহোক তদানীন্তন সময়ের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও জমিয়ত উলামার নেতাদের নেতৃত্বে ওই এলাকা আবারও ভারতবর্ষের অন্তর্ভূক্ত হয় । লাফাশাইল এলাকার উত্তর ও কিছু অংশের পশ্চিম সীমানা দিয়ে কুশিয়ারা নদী বয়ে গেছে । আর ওই কুশিয়ারা নদীই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের সহিত ভারতের সীমারেখা । প্রাক্ স্বাধীনতার সময়ে লাফাশাইল এলাকার বেশিরভাগ আত্মীয়তা বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ছিল । সেই সুবাদে স্বাধীনতার পর থেকেই উভয় দেশের মানুষ বিভিন্ন সামগ্রীর চোরা কারবার করতে থাকেন । তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যক মানুষ ক্ষেতকৃষি ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন । আর বিকল্প রোজগারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না । সেহেতু লাফাশাইল এলাকার আর্থিক ও সামাজিক মান অতি নিম্নমানের ছিল ।

বৃহত্তর লাফাশাইল করিমগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি বৃহৎ ও জনবসতিপূর্ণ গ্রাম । ইদানীং ওই বৃহত্তর এলাকাকে তিনটি রাজস্ব গ্রামে ভাগ করা হয়েছে যথা- লাফাশাইল ১ম খণ্ড, ২য় খণ্ড ও ৩য় খণ্ড হিসেবে । বর্তমানে ওই তিনটি গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি । এলাকার মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ৭৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী । উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে খুব বেশি হৃদ্যতা রয়েছে, কোনও দিন সম্প্রীতির বন্ধনে চিড় ধরেনি ।
স্বাধীনতার আগে তিনটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, ১৬৮ নম্বর দশনলি মক্তব, ১৬৩ নম্বর লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৮১ নম্বর দক্ষিণ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ।পরবর্তীতে আরও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জিন্নাতুন্নেসা চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিজ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় । জাগতিক প্রাথমিক শিক্ষার ৫ টি বিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে স্থাপিত হলেও ইসলামিক শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রথমে লক্ষ্মীবাজার আশরাফুল উলুম জালালীয়া মাদ্রাসা ও পরবর্তীতে লাফাশাইল মোহাম্মদীয়া তৈয়ীবিয়া আলিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় । কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটিই স্থাপিত হয় । লাফাশাইল এমই স্কুল নামে খ্যাত ভেঞ্চার স্কুলটি আজও সরকারি অবহেলায় ধুঁকছে । সর্বশেষে ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল যেটি লক্ষ্মীবাজার রিলায়েন্স একাডেমী নামে পরিচিত । বৃহত্তর লাফাশাইলের তিনটি গ্রামই শৈক্ষিক, আর্থিক ও সামাজিক তথা উপযুক্ত পানীয়জলের সুবন্দোবস্থ নেই । রাস্তাঘাট মোটামুটি উন্নত হওয়ার পথে , তাও আবার বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বদৌলতে । ২০১১ সালের আগমূহুর্তে ওই এলাকায় উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না । বিশেষ করে প্রথমে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত সড়ক ও পরবর্তীতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আরও পিছিয়ে নিয়ে যায় । তখন মানুষের রোজগার শূন্যতা দেখা দেয় । এতে কিশোর, যুবক ও প্রৌঢ়রা রোজগারের তাগিদে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন । কিছুটা হলেও আর্থিক উন্নয়ন হয় ।
একদা লাফাশাইল ৩য় খণ্ড শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থিক দিক দিয়ে বাকি দুটি গ্রাম থেকে এগিয়ে ছিল , বর্তমানে দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে । তার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে চোরা কারবার ।আশা করি এসব বন্ধ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ।

বৃহত্তর লাফাশাইল গ্রামের ১৯৫১ সনের লিগ্যাসি ডাটা ইন্টারনেটে আপলোড করা হয় নাই । এ নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ চরমে ।

এতেকাফ/ইতিকাফ সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর ।

*টাকার বিনিময়ে ইতিকাফ করালে এলাকাবাসী দায়িত্বমুক্ত হবে কি?*

প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারামের কাছে জানতে চাচ্ছি, কোন এলাকায় যদি কাউকে এতেকাফের জন্য পাওয়া না যায় এবং সবাই মিলে একজনকে টাকার বিনিময়ে এতেকাফে বসায়, তাহলে কি এতেকাফ আদায় হবে?

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

এতেকাফ একটি ইবাদত। আর ইবাদতকে ব্যবসা বানানো বৈধ নয়। যেহেতু ইতিকাফকে বিক্রি করা জায়েজ নয়। তাই এ ইতিকাফের কোন সওয়াব হবে না। এ কারণে এমন ইতিকাফের মাধ্যমে এলাকাবাসী দায়িত্বমুক্ত হবে না। [ফাতাওয়া মাহমূদিয়া-১৫/৩৩৬]

الْأَصْلُ أَنَّ كُلَّ طَاعَةٍ يَخْتَصُّ بِهَا الْمُسْلِمُ لَا يَجُوزُ الِاسْتِئْجَارُ عَلَيْهَا عِنْدَنَا الخ وَلِأَنَّ الْقُرْبَةَ مَتَى حَصَلَتْ وَقَعَتْ عَلَى الْعَامِلِ وَلِهَذَا تَتَعَيَّنُ أَهْلِيَّتُهُ، فَلَا يَجُوزُ لَهُ أَخْذُ الْأُجْرَةِ مِنْ غَيْرِهِ كَمَا فِي الصَّوْمِ وَالصَّلَاةِ هِدَايَةٌ. (رد المحتار، كتاب الاجارة، باب الاجارة الفاسدة- مطلب فى الاستئجار على الطاعات-9/76، مجمع الانهر-3/532-533

তবে যদি টাকার চুক্তি ছাড়াই খুশি মনে কেউ ইতিকাফে বসে। আর এ এলাকায় টাকা দিয়ে ইতিকাফে বসার রেওয়াজও না হয়, তাহলে ইতিকাফ শেষে মুসল্লিদের কেউ যদি তাকে হাদিয়া দেয়, তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে। তখন সেটিকে বিনিময় সাব্যস্ত করার সুযোগ থাকছে না। [মাসায়েলে ইতিকাফ-১৭-১৮]

ইতিকাফের মত এমন একটি জরুরী সুন্নত আদায়ের জন্য লোক না পাওয়া বড়ই দুর্ভাগ্যজনক। আমলী জিন্দিগীতে আমাদের কি দৈন্যদশা তা এরকম হালাত দ্বারা পরিস্কার হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের হিফাযত করুন।

والله اعلم بالصواب

লক্ষ্মীবাজারে লকডাউন উপলক্ষে নদওয়ার ত্রাণসামগ্রী বিতরণের এক মূহুর্তে তোলা ছবি ।

আসন্ন ঈদুল ফিতিরে আড়ম্ভরতা পরিহার করার জন্য জনগণের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন উত্তর পূর্ব ভারত এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদ্ওয়াতুত্ তামীরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া সাহেব ।

উত্তর পূর্ব ভারতের আমীরে শরীয়ত মাওলানা ইউসুফ আলী সাহেব এবারের ১৪৪১ হিজরি মুতাবিক্ব ২০২০ সনের ফিৎরার পরিমাণ ঘোষণা দিয়েছেন ।

শেরুলবাগ লাফাশাইল আঞ্চলিক নদওয়ার উদ্যোগে লকডাউন উপলক্ষে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সংবাদ দৈনিক নববার্তা প্রসঙ্গে ।

শেরুলবাগ লাফাশাইল আঞ্চলিক নদওয়ার উদ্যোগে লকডাউন উপলক্ষে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সংবাদ দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গে ।

শেরুলবাগ লাফাশাইল আঞ্চলিক নদওয়ার উদ্যোগে লকডাউন উপলক্ষে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সংবাদ দৈনিক প্রান্তজ্যোতি পত্রিকায় ।

Design a site like this with WordPress.com
Get started