“সবাহি মক্তব শিক্ষার গুরুত্ব” বুনিয়াদি দ্বীনি শিক্ষার অন্যতম অঙ্গ কোরআনের শিক্ষার গুরুত্ব এবং জাতীয় জীবনে ইহার মাহাত্ম্য উপলব্ধি করিবার পক্ষে আউলিয়া কেরাম দের বাণী নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ কুতবুল আলম শেখুল ইসলাম হজরত মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রহ:)বাণীঃ- একমাত্র মক্তব মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা ও উন্নতি সাধন দারাই এই সেক্যুলার দেশের মুসলমানদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করা সম্ভব। এই জন্যই অসাধারণ প্রয়াস প্রচেষ্টা প্রত্যেক মুসলমানদের পক্ষে ফরজ। হজরত মওলানা আবুল কালাম আজাদ(রহঃ) বাণীঃ- মুসলমান গন এক স্বতন্ত্র এবং বিশিষ্ট সভ্যতা ও তমদ্দুনের অধিকারী, ইহার সংরক্ষন ও উন্নতি বিধানের অধিকার তাহাদের আছে। একমাত্র দ্বীনি শিক্ষার উপরই নির্ভর করে এই তাহজিব তমদ্দুনের স্থিতি। হজরত মওলানা আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী (রহঃ) বাণীঃ- ক্ষোভ প্রকাশ করিয়া বলিতেন ছাত্ররা দারুল উলুম হইতে শিক্ষা সমাপ্ত করার পর চেষ্টায় লাগিয়া যায় কোথায় ও কোন মাদ্রাসার মুহতামিম, মোহাদ্দেস বা ছদর হওয়া যায় কিনা! “আমার অন্তর চায় তারা প্রতি গ্রামে গ্রামে আদর্শ মক্তব প্রতিষ্ঠা করুক”।বর্তমানে ইহাই শ্রেষ্ঠতম খেদমত। বর্তমান কালে উম্মতের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছিয়াছে উপলব্ধি করিয়া হজরত মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (রহ:)এক আন্দোলন পরিচালনা করিয়া যান। উহার ফলাফল বেশ বিস্তার লাভ করেছে।প্রতি তবকাতেই কিছু কিছু দ্বীনদার লোক দেখা যাইতেছে। শায়খুল ইসলাম হজরত মওলানা সৈয়ীদ হুসাইন আহমদ মদনী (রহ:) এর সুযোগ্য শিষ্য ও খলিফা হজরত মওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী (রহ:) বর্তমান যুগের এই করুন অবস্থা বিশেষ ভাবে উপলব্ধি করিলেন যে শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবত এই দেশে দ্বীনি শিক্ষার ছবাহি মক্তব প্রতিষ্ঠা করার রেওয়াজ রহিয়াছে কিন্তু এইগুলির সংরক্ষণ সুশৃংখল পদ্ধতিতে পরিচালনা এবং যথাযথ উন্নতি বিধানের জন্য দেশে কোন সঙ্ঘবদ্ধ ব্যবস্থা না থাকায় একদিকে এই রেওয়াজি মক্তব গুলি যেমন নির্জীব এবং অচল হইতে চলিয়াছে অন্যদিকে দেশের হাজার হাজার দ্বীনদার তবকার চাহিদা ও এলাকার প্রয়োজন মোতাবেক মক্তব ও প্রতিষ্ঠা করা যাইতেছে না। বিজ্ঞানসম্মত কোন শিক্ষার পদ্ধতি বর্তমানে না থাকায় মক্তব গুলিতে “যার যেমন খুশি” নীতিতে পড়াশোনা হইতেছে। অন্যদিকে আদর্শ মোয়াল্লীম গড়িয়া তোলার কোন বলিষ্ঠ ব্যবস্থা না থাকায় মক্তবের চাহিদা মোতাবেক উপযুক্ত উস্তাদ ও সরবরাহ করা যাইতেছে না। কাজেই শিশুদের অমুল্য জীবন অংকুরেই বিনষ্ট হইতে চলিয়াছে দেখিয়া তিনি ১৯৬৩ ইংরেজিতে “এদারায়ে তালীম ও তানজিম” নামে নামকরণ করে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে স্থানে আদর্শ মক্তব শিক্ষার জন্য কয়েক গুলি মক্তব নির্বাচন করে একটি স্কিম চালু করেন। সাথে সাথে প্রত্যেক মুসলমান যাহাতে প্রকৃত খাঁটি মুসলমান হিসাবে জীবন যাপন করিতে পারে সেই হিসাবে পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে এই প্রচেষ্টা ক্রমান্বয়ে অগ্রসর হয়ে উত্তর পূর্ব ভারতে দওরে ছাহাবা ফিরাইয়া আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করে তিনি এমারতে শরয়ীয়াহ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৬ ইংরেজিতে তাহাকে প্রথম আমীরে শরীয়ত নির্বাচিত করা হয়। তাহার মৃত্যুর পর ২ য় আমীরে শরীয়ত হজরত মওলানা তৈয়ীবুর রহমান বড়ভূইয়া সাহেব তাহারই অনুসরণ করে দিনের কাজ ক্রমান্বয়ে অগ্রগতির দিকে পরিচালিত করিয়াছেন। ২ য় আমীরে শরীয়তের মৃত্যুর পর, ৩ য় আমীরে শরীয়ত হজরত মওলানা ইউছুফ আলী ছাহেব তাহারই পদাংক অনুসরণ করে দীনের কাজ পরিচালিত করিয়া লইয়া যাইতেছেন। কিন্তু আমরা যদি সজাগ সচেতন না থাকি তাহা হইলে আমাদের পূর্ববর্তী বুজুর্গ গন যেভাবে একটি প্রতিষ্টান গড়িয়া তাহার মাধ্যমে দ্বীন ইসলামের খেদমত করিয়া গিয়াছিলেন এবং তাহাদের ইন্তেকালের পর আবার সেই গুলো নির্জীব হইয়া পড়িয়া যায়, সেই হিসাবে আমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় আমীরে শরীয়ত তাহারা যে দায়িত্ব আদায় করিয়া চলিয়া গিয়াছেন এবং আমাদের উপর সেই দায়িত্ব ন্যসত করিয়া গিয়াছেন, আমরা আজ উদাসীন থাকি তাহলে কাল কেয়ামতের ময়দানে আমাদেরকে জবাবদিহি হইতে হইবে।
বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষা আন্দোলনে উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম আমীরে শরীয়ত মাওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী (রহঃ) এর অবদান অনস্বীকার্য । তথাপি তথাকথিত ভাষাপ্রেমীদের কাছে ব্রাত্য ।
বাংলা ভাষা আন্দোলনে মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরীর অবদান। ভাষা আন্দোলন আসাম তথা বরাকের সর্ববৃহৎ গণ আন্দোলন । এই আন্দোলন সর্বাত্মক সার্থক ও সফল আন্দোলন । আন্দোলনকে সফলতার চরম শিখরে পৌঁছাতে যে ক’জন বিপ্লবী নেতা জীবন বাজি রেখে লড়েছিলেন,তন্মধ্যে অন্যতম মাতৃভাষাব্রতী, সিংহপুরুষ মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরী । তাঁর অবদান কস্মিনকালেও ভুলা সম্ভব নয়। ১৯৬০ সালের ১০ ডিসেম্বর তৎকালীন চলিহা সরকারের মন্ত্রীসভা আসাম সরকারী ভাষাবিল পেশ করেছিল ,যা একমাত্র সংখ্যার জোরে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৬০ সালে আইন হিসাবে পাশ করে নেয় । এই আইন অসমীয়া ভাষাকে আসামের একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে । যেটা আসামের বাঙালীদের ভাবাবেগে চরম আঘাত দেয় । এই আইন প্রতিরোধ করতে প্রতিবাদে বরাক উপত্যকার কংগ্রেস দল একজোট হয়ে উঠে । সঙ্গে অন্যান্য সামাজিক সংগঠনও। কালক্রমে ১৫ জানুয়ারী ১৯৬১ সালে অনুষ্ঠিত জনসম্মেলনের মাধ্যমে “কাছাড় সংগ্রাম পরিষদ ” গঠিত হয় । এই পরিষদের সভাপতি ছিলেন তরুণ এডভোকেট আব্দুর রাহমান চৌধুরী । সংগ্রাম কমিটি বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলে । অপরদিকে সরকারের পরোক্ষ মদতপুষ্ট কতিপয় স্বার্থান্বেষী, মানুষদের আন্দোলন থেকে দূরে ঠেলতে থাকে । চালাতে থাকে বরাকের অলিতে-গলিতে অপপ্রচার । দেখাতে থাকে অহেতুক ভয়ভীতি । গ্রামাঞ্চলের সরলমনা মানুষ এই দুষ্টচক্রের অপপ্রচারে প্রভাবিত হয় এবং অসমীয়া ভাষার পক্ষে সওয়াল করে । আন্দোলন স্তব্ধ হওয়ার উপক্রম । এহেন বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন জননেতা আব্দুল জলীল চৌধুরী । তিনি বরাকের মানুষদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে বরাকের নানা প্রান্তে সভা-সমিতি করেন । তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে দিশেহারা মানুষের ভ্রান্ত ধারণা বিদূরিত হয় । তিনি গণিরগ্রাম জে, আর হাইয়ার সেকেণ্ডারী স্কুলে এক প্রতিবাদী সভায় মাতৃভাষা প্রসঙ্গে বলেন, আমি মাত্র আপনাদের কাছে একটা কথা জানতে চাই “আপনারা কাহারা নিজের মাকে ভুলিতে পারিবেন ? ” তখন সকলে এক বাক্যে বলিলেন তা কখনো হতে পারে না । তিনি লোকজনের আওয়াজ শুনে বলিলেন, ”তাহা হইলে আমি আব্দুল জলীল সরকারের একজন হওয়া সত্বেও বলিতেছি যে আমরা বাংলাবাসী লোক ,আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা ,আমি এক মুহূর্তের জন্য আমার মায়ের মুখ বন্ধ করিতে চাই না।” তখন উপস্থিত সবাই বলে উঠলেন “চাই না, চাই না ”। সেদিন থেকে পশ্চিম কাছাড় অঞ্চলে জোরদমে আন্দোলন শুরু হয় । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় , সভা-সমিতি করতে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হন । আক্রান্ত হন অনেকবার । গাড়িতে ইট পাটকেল বর্ষণ হয় একাধিকবার । প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় । শালচাপড়ার এক সভা থেকে আসার পথে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন । তারপরও বিচলিত হননি ।এক ইঞ্চিও পিছু হটেননি এ বীর যোদ্ধা । বরং পুরোদমে চালাতে থাকেন সভা-সমিতি, আন্দোলন । তাঁরই শক্তিশালী নেতৃত্বে উজ্জীবিত হয়ে ১৯৬১ সালের ১৯ মে প্রাণ দিতে ও কুন্ঠাবোধ করেননি ১১ জন ভাষা সেনানী। কিন্তু এ বীর শহিদদের নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরুর প্রতিক্রিয়া ইতিহাসের পাতায় কালো অক্ষরে লেখার মতো । শোক প্রকাশ তো দূরের কথা উল্টো বলে বসেন , ” যারা রেল ষ্টেশনে অগ্নিসংযোগ করায় তাদের পুলিশ গুলি করবে না তো ফুল ছিটাবে কি !” তাঁর এ মন্তব্যে তোলপাড় হয় গোটা উপত্যকা । তখন এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী রাজনীতিবিদ,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার অপপ্রচেষ্টা চালায় । মওলানা জলীল সাহেবের তৎপরতায় কিন্তু তা সম্ভবপর হয়নি । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা বরাকের ইতিহাসে জাজ্বল্যমান থাকবে । থাকবে চিরস্মরণীয় । তিনি বলেছিলেন , “ভাই সকল,আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে যারা চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন, আমাদের এই আন্দোলন অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন । ” তিনি উদ্বাত্ত কন্ঠে বলেছিলেন , “ভাষিক সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা কোন শক্তির নাই । ” তাঁর অগ্নিগর্ভ ভাষণে বরাক উপত্যকায় সৃষ্টি হয়েছিল এক সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আন্দোলন । তাঁর এ মন্ত্রে দীক্ষিত হন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল বাঙালী । রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী কায়দায় Divide & Rule নীতি অনুসরণ করে বরাক উপত্যকার মানুষকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভাজন করতে । আন্দোলনের গতিবিধি অপ্রতিরোধ্য অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী নেহরু তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্ত্রীকে আসামে পাঠান । অবস্থা পর্যালোচনাক্রমে শাস্ত্রীজি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মত বিনিময়ের উদ্দেশ্যে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে দিল্লির আমন্ত্রণ জানান । প্রতিনিধিদলে ছিলেন আসামের প্রাক্তন মন্ত্রী মরহুম আলতাফ হুসেন মজুমদার, মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরী ও করিমগঞ্জের রথীন্দ্রনাথ সেন । প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর দরবারে হাজির হন । তখন প্রধানমন্ত্রী চটে লাল হয়ে বলেন, আপনারাই বোধহয় কাছাড়ের ১১ জন বাঙালির খুনি ? একথা শোনা মাত্র সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রমী চরিত্র মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরী । তিনি বলেন,” ১১ জন কেন ? আমাদের সংগ্রামের নৈতিকতা বিচার করে আমাদের বাংলা ভাষার অধিকার না দিলে আসামের সমগ্র বাঙালি মানুষ প্রাণ দিতে বিচলিত হব না ।” বিরোচিত জবাব শুনে প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দেন। শাস্ত্রীর সাথে আলোচনার পর দশ বছরের জন্য অসমীয়া ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষা চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং পুলিশের গুলিচালনার তদন্তের জন্য মেহেরাত্রা কমিশন গঠিত হয় । মেহেরাত্রা কমিশনের রিপোর্টের অপেক্ষায় আজও জাতি অপেক্ষমান । দশ বছর পূর্তিতে ১৯৭২ সালে সেবা আসামের সমগ্র মাধ্যমিক স্কুলসমূহে অসমীয়া ভাষা বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশ জারি করে। আবার জ্বলে উঠে বরাক । গর্জে উঠেন আন্দোলনকারী । গঠন করেন সংগ্রাম পরিষদ । বরাক উপত্যকার সকল নেতৃবৃন্দ এই আন্দোলনে নেতৃত্বের জন্য মওলানা চৌধুরীকে অনুরোধ করেন । তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে শাসক দলের বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেন । সংগ্রাম পরিষদের কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন অধ্যাপক মেহরাব আলি লস্কর এবং সম্পাদক হন তারাপদ ভট্টাচার্য । মওলানা সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পরিচালিত এ আন্দোলনে প্রায় দু-মাস সরকারি কাজকর্ম অচল হয়ে পড়ে । ইতিমধ্যে আসাম বাজেট অধিবেশন আরম্ভ হয় । সংগ্রাম পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাক উপত্যকার মন্ত্রী সহ কোন বিধায়ক অধিবেশনে উপস্থিত না হয়ে অধিবেশন বয়কট করার অনুরোধ জানানো হয় । কিন্তু গদির লালসা মওলানা চৌধুরী ও সরবরাহ মন্ত্রী মহীতোষ পুরকায়স্ত ব্যতিত কাউকে আটকাতে পারেনি । এমনকি পুরকায়স্তবাবু মন্ত্রিপদ খুইয়ে বসেন । অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সি পন্থের আহ্বানে, মওলানা সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সংগ্রামী নেতৃ্বৃন্দ শিলঙে একটি গোল টেবিল বৈঠক করেন । সেই গোল টেবিল বৈঠকেই ঐতিহাসিক ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা “সিংহ -পন্থ -জলীল” চুক্তি নামে পরিচত । মওলানা আব্দুল জলীল আন্দোলন পরিষদের সভাপতি হিসাবে, শরৎচন্দ্র সিংহ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সি পন্থ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন । এছাড়াও আরও দশজন সাংসদ ও বিধায়ক এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ।এই চুক্তির শর্তানুসারে মাধ্যমিক অবধি অসমীয়ার সঙ্গে বাংলা ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় । এই চুক্তির সুবাদে আজও বরাক উপত্যকায় ছাত্র-ছাত্রীরা মাতৃভাষা বাংলার মাধ্যমে লেখাপড়ার সুযোগ ভোগ করছে । প্রতিবছর ১৯ মে ভাষা শহিদ দিবস হিসাবে পালন করা হয় ।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ,যাঁর নেতৃত্বে এত বড় একটি গণ-আন্দোলন হয়েছিল ,যার ফলস্বরূপ আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ,তাঁর যথোপযুক্ত মূল্যায়ন হয় না সেই শহিদ দিবসে ।
এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই
এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করতে পারে না, তাকে অসহায় অবস্থায় পরিত্যাগ করতে পারে না এবং তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে পারে না। তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করে বলেন, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে। কোনো লোকের নিকৃষ্ট সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছজ্ঞান করে। প্রত্যেক মুসলমানের জীবন, ধন-সম্পদ ও মানসম্মান প্রত্যেক মুসলমানের সম্মানের বস্তু (এর ওপর হস্তক্ষেপ করা তাদের জন্য হারাম) মুসলিম থেকে মিশকাতে।
পবিত্র কোরআনে বিশ্বাসীদের একে অপরের সহযোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ করা হয়েছে ‘সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরকে সাহায্য করবে’ (সূরা মায়িদা : ২)
ইসলামী ভ্রাতৃত্বের দাবি হচ্ছে, এক মুসলমান অপর মুসলমানের ওপর নিজেও জুলুম করবে না, তাকে জালেমের হাতেও তুলে দেবে না এবং নিজের আর্থিক, বংশীয়, দৈহিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাধান্যের ভিত্তিতে অন্যকে তুচ্ছজ্ঞান করবে না। তাকওয়ার মূল কেন্দ্র হচ্ছে অন্তর। মানুষের অন্তর রাজ্যে যদি তাকওয়ার বীজ শিকড় গাড়তে পারে তবে তার বাহ্যিক দিকও সৎ কাজের পত্র-পল্লবে সুশোভিত হয়ে যায়। কিন্তু অন্তরেই যদি তাকওয়ার নাম-নিশানা না থাকে তবে তাকওয়ার বাহ্যিক মহড়ায় নৈতিক চরিত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না, আখেরাতের সাফল্য অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। মুসলিম সমাজে কোনো মুসলমানের জানমাল ও ইজ্জত-আব্রুর ওপর আক্রমণ করা নিকৃষ্টতম অপরাধ। এর জন্য দুনিয়াতেও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে এবং আখেরাতেও এ ধরনের অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তি আল্লাহর আজাব থেকে রেহাই পাবে না।
দুনিয়ার সব মানুষ প্রথম মানব-মানবী আদম ও হাওয়ার সন্তান বা বংশধর। যে কারণে ইসলাম এক মানুষের সঙ্গে অপর মানুষের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্ঠাকে উৎসাহিত করেছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের যে সম্পর্ক সৃষ্টি করেন তার পরিণতিতে তারা ক্ষমতাধর জাতিতে পরিণত হয়। ঐশী চেতনায় মুসলমানরা সব প্রতিকূলতাকে জয় করার কৃতিত্ব দেখায়। যে আরবরা ছিল শতধা বিভক্ত, হানাহানি ছিল যাদের স্বভাবের অংশ, তারা ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত হয়।
মুসলমান হিসেবে নিজেদের দাবি করতে হলে ইসলামের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। এ শিক্ষা জাতীয় ঐক্য, সামাজিক ও পারিবারিক শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।
এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই
এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করতে পারে না, তাকে অসহায় অবস্থায় পরিত্যাগ করতে পারে না এবং তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে পারে না। তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করে বলেন, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে। কোনো লোকের নিকৃষ্ট সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছজ্ঞান করে। প্রত্যেক মুসলমানের জীবন, ধন-সম্পদ ও মানসম্মান প্রত্যেক মুসলমানের সম্মানের বস্তু (এর ওপর হস্তক্ষেপ করা তাদের জন্য হারাম) মুসলিম থেকে মিশকাতে।
পবিত্র কোরআনে বিশ্বাসীদের একে অপরের সহযোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ করা হয়েছে ‘সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরকে সাহায্য করবে’ (সূরা মায়িদা : ২)
ইসলামী ভ্রাতৃত্বের দাবি হচ্ছে, এক মুসলমান অপর মুসলমানের ওপর নিজেও জুলুম করবে না, তাকে জালেমের হাতেও তুলে দেবে না এবং নিজের আর্থিক, বংশীয়, দৈহিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাধান্যের ভিত্তিতে অন্যকে তুচ্ছজ্ঞান করবে না। তাকওয়ার মূল কেন্দ্র হচ্ছে অন্তর। মানুষের অন্তর রাজ্যে যদি তাকওয়ার বীজ শিকড় গাড়তে পারে তবে তার বাহ্যিক দিকও সৎ কাজের পত্র-পল্লবে সুশোভিত হয়ে যায়। কিন্তু অন্তরেই যদি তাকওয়ার নাম-নিশানা না থাকে তবে তাকওয়ার বাহ্যিক মহড়ায় নৈতিক চরিত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না, আখেরাতের সাফল্য অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। মুসলিম সমাজে কোনো মুসলমানের জানমাল ও ইজ্জত-আব্রুর ওপর আক্রমণ করা নিকৃষ্টতম অপরাধ। এর জন্য দুনিয়াতেও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে এবং আখেরাতেও এ ধরনের অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তি আল্লাহর আজাব থেকে রেহাই পাবে না।
দুনিয়ার সব মানুষ প্রথম মানব-মানবী আদম ও হাওয়ার সন্তান বা বংশধর। যে কারণে ইসলাম এক মানুষের সঙ্গে অপর মানুষের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্ঠাকে উৎসাহিত করেছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের যে সম্পর্ক সৃষ্টি করেন তার পরিণতিতে তারা ক্ষমতাধর জাতিতে পরিণত হয়। ঐশী চেতনায় মুসলমানরা সব প্রতিকূলতাকে জয় করার কৃতিত্ব দেখায়। যে আরবরা ছিল শতধা বিভক্ত, হানাহানি ছিল যাদের স্বভাবের অংশ, তারা ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত হয়।
মুসলমান হিসেবে নিজেদের দাবি করতে হলে ইসলামের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। এ শিক্ষা জাতীয় ঐক্য, সামাজিক ও পারিবারিক শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।
মদীনাতুল উলুম বাগবাড়ি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ মাওলানা নজীব আলী সাহেব (রহঃ)
আফগানিস্হানের বদখশান অঞ্চলের এক সময়ের বাদশাহ ছিলেন,শাহ গৌহর খাঁ, তাঁরই পরিবারের এক সদস্য হজরত মাওলানা শ্বায়খ নজীব আলী রহঃ, দ্বীন ইসলামের প্রচার-প্রসারের জন্য উত্তর-পূর্ব ভারতে এসেছিলেন 1800 ইং এর আশ-পাশ নাগাদ, বসত বাড়ী হিসাবে স্হির করেছিলেন, করিমগঞ্জের কালীগঞ্জের নিকটস্হ গোয়াশপুর গ্রামে। তখনকার সময় ভারতে চলছিলো স্বাধীনতা সংগ্রামের জোরদার পরিস্হিতি, ঐ সংগ্রামের এক সৈনিক ছিলেন তিনি, 1857 ইংরাজীতে শীমলায় সিপাহী বিদ্রোহে সামিল ছিলেন এই সংগ্রামী নেতা হজরত মাওলানা নজীব আলী সাহেব, রহঃ, তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তর-পুর্ব ভারতের তিনশত সত্তর জন সৈনিক। সিপাহি বিদ্রোহ আন্দোলনে পরাজয় হতে হয়েছিলো তাঁদেরকে। তিনি সহ বেশ কয়েক জনের উপর ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে কারাদণ্ডের নির্দেশ বুজেই বাড়ী-ঘর বিক্রী করে মক্কা শরীফের দিকে হিজরত করেন তিনি। কয়েক বৎসর সেখানে থেকে তাঁরই মুরশীদ শ্বায়খুদ্দালায়ীল হজরত মাওলানা ফজলে হক্ব খয়রাবাদী রহঃ হজ্জের মৌসুমে সাক্ষাৎ হলে উনি বলে উঠলেন তুমি এখানে থাকলে চলবে না, তুমি তোমার নিজের জায়গায় (উত্তর-পূর্ব ভারতের করিমগঞ্জে) চলে যাও, সেখানে গিয়ে দ্বীনের কাজ (প্রচার-প্রসার)তথা মুসলমানদের জন্য নিজের জীবনকে কাজে লাগাও, এই নির্দেশ পাওয়ার পর ফিরে আসলেন এবং নতুন বসত বাড়ী স্হাপন করলেন কালীগঞ্জের নিকটস্হ বাগবাড়ী গ্রামে, যেহেতু সেই যোগে ব্রিটিশ বাহিনীর তাণ্ডবে ইসলামকে বিলীন করে দেওয়ার পরিকল্পনা চালিয়েছিলো ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানী। এখান থেকেই ইসলামের দিকে মুসলমানদের আগ্রহ জন্মানো ও ইসলামের মৌলিক শিক্ষার সুব্যবস্হার জন্য প্রতিষ্ঠিত করেন মদীনাতুল উলুম বাগবাড়ী নামে একটী প্রতিষ্ঠান 1873খৃষ্টাব্দে, যেহেতু একই চিন্তাধারা নিয়ে 1866 ইংরাজীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দকে ক্বাছিমুল উলুম ওয়াল খায়রাত হজরত মাওলানা ক্বাছিম নানতবী রহঃ, ৷ 1873 ইংরাজী থেকেই বাগবাড়ী গ্রামেই মদীনাতুল উলুম মাদ্রাসা নিষ্টার সহিত খালিছ-মখলিছ ভাবে আজ অবদি ঈলমেদ্বীন তথা ক্বওম ও মিল্লতের খিদমত করিয়া আসিতেছে, প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে প্রায় 65 বৎসর পর্যন্ত বিনা বেতনে খিদমত করে গিয়েছিলেন সেই যোগের বুজুর্গণরা, তাঁদেই ক্বুরবানী ও ত্যাগের ফলসরূপ উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বীনি প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতিষ্ঠাতাগণ একযোগে মদীনাতুল উলুম বাগবা়ড়ী মাদ্রাসার সুসন্তান ছিলেন, ৷
ইমাম ও মুয়াল্লিম সাহেবানদেরকে হাদিয়া প্রদান নদওয়াতুত্ তামীরের
আজ ১৪ই জুন ২০২০, উত্তর পূর্ব ভারত এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদওয়াতুত্ তামীরের অন্তর্গত করিমগঞ্জ জেলাধীন শেরুলবাগ- লাফাশাইল আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট এলাকার ২২ জন ইমাম ও মুয়াল্লিম সাহেবানদেরকে নগদ ১০০০ টাকা করে হাদিয়া প্রদান করা হয় । এতে বিশেষভাবে এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী জানাব এনামুদ্দিন সাহেবের অবদান অনস্বীকার্য । উল্লেখ্য, উনাকে এ কাজে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন কেন্দ্রীয় নদওয়ার মহামান্য সাধারণ সম্পাদক- মাওলানা আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া সাহেব, সম্পাদক- ড• মাওলানা ফজলুর রহমান লস্কর সাহেব, সম্পাদক- মাওলানা নয়ীমুদ্দিন চৌধুরী সাহেব, করিমগঞ্জ জেলা যুব নদওয়ার সম্পাদক মাওলানা জসিম উদ্দিন সাহেব ও প্রচার সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম সাহেব প্রমুখ । আজকে আঞ্চলিকের তরফে উপস্থিত ছিলেন ক্বাজীয়ে শরীয়ত মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল ওয়ারিস ও যুব নদওয়ার সম্পাদক জানাব সালিকুর রহমান প্রমুখ ।
উনিই হচ্ছেন মাওলানা তারিক জামিল
পাকিস্তানের মুলতানের এক বাজারে একটি পতিতালয় ছিল, মাওলানা তারিক জামিল ভাবতে লাগলেন এখানকার মহিলা গুলো তো আমার আপনজন ।
তারা যদি কাল হাশরের ময়দানে আমার নামে আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছে নালিশ করে, তখন আমি রাসূল (সাঃ) কে কি জবাব দিবো⁉
বলবে তারিক জামিল সারা দুনিয়ায় তাবলীগ করেছে, কিন্তু আমাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়নি‼
তারিক জামিল সাহেব মাগরিবের পর তিন সাথী নিয়ে ওইখানে গেলেন, গিয়ে (পর্দার আড়াল থেকে) প্রথম কথা বললেন” হে মেরি বেটি ও বেহেনো, মে আপকো ইজ্জত কা চাদর পেহনানে আয়া ।
অর্থাৎ হে আমার মেয়ে ও বোন, আমি এখানে এসেছি তোমাদের ইজ্জতের চাদর পরাতে ।
তারা তো অবাক, এখানে সবাই আসে আমাদের ইজ্জতের চাদর খুলতে, ইনি কে…⁉ যে আমাদের ইজ্জত দিতে এসেছে‼
তারিক জামিল সাহেব দেড় ঘণ্টা বয়ান করলেন, বয়ানের মধ্যেই তাদের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। বয়ান শেষে তারা এই কাজ ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করলো ।
তারিক জামিল সাহেব নিজেই তাদের কয়েকজনের খাবারের ব্যবস্থা করলেন, কয়েকজনের শাদীর ব্যবস্থা করলেন।
ঘৃণা নয় একমাত্র নবীওয়ালা দরদ দিয়েই উম্মত কে উদ্ধার করতে হয় ।
আল্লাহ সবাইকে কে সঠিক বুঝ দান করুন। (আমীন)
شیخ الاسلام مفتی اعظم مفتی محمد تقی عثمانی صاحب کا ارطغرل فلم کے بارے میں امت مسلمہ کو درد بھرا اصولی دعوت و پیغام
*شیخ الاسلام مفتی اعظم مفتی محمد تقی عثمانی صاحب کا ارطغرل فلم کے بارے میں امت مسلمہ کو درد بھرا اصولی دعوت وپیغام
ارطغرل اور تصویر ویڈیو وغیرہ کو دین کے لیے استعمال کرنے والوں کے لیے حضرت کا درد بھرا مضمون۔ پینتیس چالیس سال قبل بھی کچھ دین کے نام پر فلمیں وغیرہ بنائی گئی تھیں اور ان کی افادیت کا پرچار کیا گیا تھا جیسا کہ آج کیا جارہا ہے جس کا رد حضرت کے فصیح و بلیغ قلم سے ملاحظہ فرمائیں*👇👇👇
حضرت مولانا مفتی محمد تقی عثمانی صاحب مد ظلہم لکھتے ہیں
اس فلم کے بارے میں ایک اور پروپیگنڈہ بڑے شدومد سے یہ کیا گیا ہے کہ اس کے ذریعہ اسلام کی تبلیغ میں بڑی مدد ملی ہے۔ اور ہزاروں غیر مسلم اسے دیکھ کر مسلمان ہوگئے ہیں۔ اول تو یہ بات بھی پہلی بات کی طرح بے بنیاد پروپیگنڈا ہے۔ ایک معمولی سمجھ کے انسان کے لیے بھی یہ باور کرنا مشکل ہے کہ ایسی فلم کو دیکھ کر ہزاروں انسان اسلام میں داخل ہوگئے ہوں۔ لیکن اگر بالفرض یہ تماشا دیکھ کر کچھ لوگوں کے دل واقعی اسلام کی طرف مائل ہوتے ہیں تو آخر یہ کیوں فرض کر لیا گیا کہ اسلام کی تبلیغ اور لوگوں کو متاثر کرنے کے لیے ہر طریقہ استعمال کرنا جائز ہے خواہ وہ اسلامی اصولوں کے کتنا خلاف ہو اگر”تبلیغِ اسلام“ کی خاطر اس دلیل کو قبول کر لیا جائے تو کل کو یہی دلیل بنفسِ نفیس سرکارِ دو عالم صلی اللہ علیہ وسلم کی شبیہ دکھانے کے لیے بھی پیش کی جاسکتی ہے۔
”تبلیغِ اسلام“ کا اتنا”درد“ رکھنے والے ان حضرات کو یہ معلوم ہونا چاہیے کہ اسلام نے اپنی تبلیغ کے لیے بھی کچھ خاص اصول مقرر فرمائے ہیں، جو تبلیغ ان اصولوں کو توڑ کر کی جائے وہ اسلام کے ساتھ دوستی نہیں، دشمنی ہے۔ یہ کوئی عیسائیت یا کمیونزم نہیں ہے جو اپنے نظریات کے پرچار کے لیے ہر جائز و ناجائز طریقِ کار کو رواں رکھتا ہو، جسے زیادہ سے زیادہ لوگوں کو اپنا ہم خیال بنانے کے لیے اپنے اکابر کی حرمت کا بھی پاس نہ ہو اور جو دنیا میں محض ہم نواؤں کی تعداد بڑھانے کے لیے اپنی عورتوں کی عصمت بھی داؤ پر لگانے کے لیے تیار ہو۔
سوال یہ ہے کہ اگر کسی زمانے یا کسی خطے کے لوگ موسیقی کے ذریعے اسلام کی طرف مائل ہو سکتے ہیں تو کیا”تبلیغِ اسلام“ کی خاطر طبلے سارنگی پر قرآن سنانے کی اجازت دے دی جائے گی؟ اگر کسی علاقے کے لوگوں کا سرکارِ دو عالم صلی اللہ علیہ وسلم کی شبیہ دیکھ کر مسلمان ہونا ممکن ہو تو کیا مسلمان (معاذاللہ) آپ ا کی فرضی تصویر شائع کرنے کو تیار ہو جائیں گے؟ اگر مسلم عورتوں کے رقص و سرود سے متاثر ہو کر کچھ لوگ مسلمان ہونے پر آمادہ ہوں تو کیا ان کے پاس”تبلیغِ اسلام“ کے لیے رقاصاؤں کے طائفے بھیجے جائیں گے؟
یہ آخر کیا طرزِ فکر ہے کہ دنیا میں جس جس برائی کا چلن عام ہو جاتا ہے اسے نہ صرف جائز اور حلال کرتے جاؤ بلکہ اسلام کی تبلیغ و ترقی کے لیے اس کے استعمال کو بھی ناگزیر قرار دو، آنحضرت ا کی جس سیرتِ طیبہ کو فلما کر اسے تبلیغِ اسلام کا نام دیا جارہا ہے اس سیرتِ طیبہ کا سبق تو یہ ہے کہ حق کی تبلیغ و اشاعت صرف حق طریقوں سے ہی کی جاسکتی ہے۔ اگر حق کی تبلیغ کے لیے اس میں کسی باطل کی آمیزش اسلام کو گوارا ہوتی تو عہدِ رسالت کے مسلمانوں کو وہ اذیتیں برداشت نہ کرنی پڑتیں جن کے واقعات پر اس فلم کی بنیاد رکھی گئی ہے۔ عہدِ رسالت کے مسلمانوں کو سب سے بڑی تربیت تو یہ دی گئی تھی کہ وہ اپنے آپ کو زمانے کے ہر غلط بہاؤ کے آگے سپر ڈالنے کے بجائے زندگی کی آخری سانس تک اس سے لڑنے اور اسے صحیح سمت کی طرف موڑنے کی جدوجہد کریں اور اس راہ میں جو مشکلات پیش آئیں انھیں خندہ پیشانی کے ساتھ برداشت کرنے کی عادت ڈالیں۔ اگر یہ بزرگ ایسا نہ کرتے اور زمانے کی ہر پھیلی ہوئی برائی کے آگے ہتھیار ڈالتے جاتے تو آج دین کی کوئی قدر بھی اپنے اصلی شکل میں محفوظ نہ رہ سکتی۔
(مضمون: عہد رسالت کی فلم بندی، کتاب: اصلاحِ معاشرہ ۲۳۱،۳۳۱)
Check out this post… “কে এই তাক্বী ওসমানী ।”.
আল্ হামদু লিল্লাহ । একটি সুখবর ।।
🇺🇸 ইতিহাসের প্রথম আমেরিকার মুসলিম হিজাবী মহিলা জজ হয়েছেন (রাফিয়া আরশাদ) যাকে নিয়ে ইতোমধ্যে প্রত্যেক মুসলিম বিশ্বের নেতারা পোস্ট করছেন এবং সকল মুসলিম দেশ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন!
১৭ বছর আগে তাঁর এক চাকরির ইন্টারভিউতে তাঁর মা বলেছিলো হিজাব খুলে যেতে না হলে তাঁকে সিলেকশন করবেনা।
রাফিয়া আরশাদ বলেছলেন আমার পর্দার জন্য আমাকে সিলেকশন না করলেও আমি কষ্ট পাবোনা
কিন্তু দুনিয়ায় সাময়িক চাকরির জন্য ইসলামের মান ক্ষুন্ন হতে দিবোনা।
সেই ইন্টারভিউ তে রাফিয়া আরশাদ হিজাবের জন্য সামান্য একটি (lawyer) আইন স্কুলের স্কলারশিপ’টি পায়নি কিন্তু (Lawyer) আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন!
আর আজ ১৭ বছরের আইন অভিজ্ঞতার পর
সে ইতিহাসের প্রথম মুসলিম হিজাবী মহিলা জর্জ পদে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্পের দেশে 🇺🇸।
আপনার জন্য শুভ কামনা রাফিয়া আরশাদ 🤲

