ভারতে আজ থেকে আরও কালো ইতিহাসের সূচনা হলো ।

,,, ভারতের অন্যতম মুঘল শ্রেষ্ঠ সম্রাট #বাবর_রহঃ ১৫২৭ শতাব্দীতে উত্তর প্রদেশ এর ফৈজাবাদে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, ১৯৯২ সালে কর সেবক দ্বারা এই মসজিদকে শহীদ করা হয়!

,,, এর পর থেকে আজ দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে এই মসজিদ বন্ধ হয়ে যায়। এবং এখানে ধর্মীয় উপাসনার নাম নিশানা মিটে যায়। ভারতে হিন্দু ক্ষমতার দরুন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মসজিদের পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর মতো তেমন শক্তি নেই ,একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা ছাড়া।

,,, গত বছরের শেষের দিকে ভারতের সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী রঞ্জন গগৈ সহ ৫ উকিলের বেঞ্চ দ্বারা বাবরি মসজিদের বিচার নিষ্পত্তি পায়। এই বিচার ভারত সহ বহির্দেশে নিরপেক্ষ বিচার বলে গন্য করা হয় নাই। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় বল প্রয়োগ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে ধোকা দিয়েছে এবং মসজিদ তৈরীর জন্য মাত্র ৫ একর জায়গা দিয়েছে। এতে সরকারের আঙ্গুলের হেলনিতে বিচার ব্যবস্থা কাজ করছে বলে অনেকের ধারণা!

,,, যাই হোক আজ থেকে ভারতে আরও এক কালো ইতিহাসের অধ্যায় হলো ! জোর করে মুসলমানদের জায়গা দখল করে সেখানে রাম মন্দির এর ভূমি পূজো সহ রাম মন্দির শিলান্যাস হবে।

,,, আমাদের আজ রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, আমরা শান্তি চাই, যদি কেহ জোর মন্দির বানিয়ে তাতে ধর্মিয় উপাসনা করে ভারতে শান্তি স্থাপন করতে পারে এতেও আমাদের দুঃখ নেই। তবে মনে রাখতে হবে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে, জোর করে কিছু ভালো করতে গেলে ও তাতে শান্তি মিলবে না বরং দাঙ্গাই থেকে যাবে।এরকম বহু ইতিহাস অতীতের লিপিবদ্ধ।

,,, আমরা মুসলমানরা এক আল্লাহর উপর ভরসা রাখছি, মহান আল্লাহর বিচার আজ না হয় কাল হবেই।এতে একদিন একদল কাঁদবে আর একদল হাসবে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান। ,,,

,,, #ইনশাআল্লাহ ., সত্যের জয় একদিন হবেই হবে।মহান আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন। #আমীন

Share this post if possible…….
লেখনীতে —–
Hasanuzzaman Barbhuiya

☆ পবিত্র শরীয়তের আলোকে এমারতে শরয়ীয়াহ ☆

বিরাদরানে ইসলাম,
ভারতবর্ষের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে এমারত শরয়ীয়াহর মাধ্যমে আমীরে শরীয়ত নির্বাচন করা ওয়াজিব।

স্বাধীনতার পূর্বে সর্বভারতীয় স্তরে এমারতে শরয়ীয়াহ গঠন করা সম্ভবপর না হওয়ায় ১৯২১ সালে পাটনার পাথর মসজিদে হযরত মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সাহেবের সভাপতিত্বে শতাধিক উলামায়ে কেরাম সহ প্রায় চার হাজার জনতার উপস্থিতিতে হযরত মাওলানা শাহ বদরুদ্দীন ফুলওয়ারি সাহেবকে, বিহার উড়িষ্যার আমীরে শরীয়ত ও হযরত মওলানা আবুল মাহাসীন সাজ্জাদ রহমত উল্লাহ কে নাইবে আমীরে শরীয়ত মনোনীত করা হয়।
১৯৭৪ সালে কর্নাটকে হযরত মাওলানা আবু স‌উদ আহমদ সাহেবকে আমীরে শরীয়ত নির্বাচন করা হয়।১৯৭৬ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক তথা বিহার উড়িষ্যার আমীরে শরীয়ত হযরত মাওলানা মিন্নতুল্লা রহমানী সাহেবের সভাপতিত্বে আহলে হল্ব ও আক্বদ সহ প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে হযরত মাওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী কে উত্তর পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের আমীরে শরীয়ত নির্বাচন করা হয়।১৯৮৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রথম আমীরে শরীয়ত হযরত মাওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী রহমাতুল্লাহি সাহেবের ইন্তেকালের পর তার কাফন দাফনের পূর্বে আরবাবে আহলে হল্ব ও আক্বদের সভায় হযরত আল্লামা তৈয়ীবুর রহমান বড়ভূঁইয়া সাহেবকে সর্বসম্মতিক্রমে উত্তর পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় আমীরে শরীয়ত নির্বাচন করা হয় ও তার‌ই ইমামতিতে প্রথম আমীরে শরীয়ত এর কাফন দাফনের কাজ সম্পন্ন করা হয় ।অতঃপর সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারতের সর্বত্র স্বত:স্ফুত ভাবে মানুষ তাকে মান্য করে তার হাতে এমারতের বয়াত করেন সর্বভারতীয় স্তরে হযরত আল্লামা তৈয়ীবুর রহমান বড়ভূঁইয়া সাহেব উত্তর পূর্ব ভারতের আমীরে শরীয়ত হিসাবে সর্বজন বিদিত ও স্বীকৃত।
১৯৮৩ সালে হযরত মাওলানা হামিদ উদ্দিন আক্বিল হুচছামীকে অন্ধ্রপ্রদেশের আমির করা হয়। যে সকল রাজ্য এমারত শরিয়াহ প্রতিষ্ঠিত হয় নাই ,সে সকল রাজ্যে কাজীয়ে শরীয়ত নিয়োগের জন্য সর্বভারতীয় মুসলিম পার্সোনাল লো বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতে শরীয়ত সম্মত ভাবে প্রতিষ্ঠিত এমারতে শরয়ীয়াহ ও নির্বাচিত আমীরে শরীয়ত বিদ্যমান থাকা অবস্থায় ১৯৯০ সালের ২০ জানুয়ারী মৈরাবাড়িতে জমিয়ত সভাপতি হযরত মাওলানা আছাদ মাদানী সাহেব শরীয়তের বিধানের তোয়াক্কা না করে পাল্টা আমীরে শরীয়ত নিয়োগ করেন, যা পবিত্র শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ ও নাজায়েজ। আমীরে শরীয়ত নির্বাচন করা কাহারো স্বীকৃতি ও অনুমোদনের উপর নির্ভর করে না বরং ইহা ওই এলাকার আহলে হল্ব ও আক্বদের দায়িত্ব। উত্তর-পূর্ব ভারতে শরীয়ত সম্মতভাবে নির্বাচিত আমীরে শরীয়ত থাকা সত্ত্বেও পাল্টা আমীরে শরীয়ত নির্বাচনের বিরোধিতা করে লেখা পশ্চিমবঙ্গ জমিয়তের সভাপতি হযরত মাওলানা তাহির সাহেবের ৪ জানুয়ারি ১৯৯০ ইংরেজির পত্র এবং মৌলানা সদরুদ্দিন আনসারী সাহেবের প্রতিবাদের কথা ভিত্তিহীন বলে বরাক উপত্যকার তিন জেলা জমিয়তের সভাপতিদের ৫ জানুয়ারি ২০১০ ইংরেজির স্বাক্ষরিত আবেদন পত্র বিলি করা হয়েছে, তা মিথ্যা অপপ্রচার। কেননা মরহুম তাহির সাহেবের চিঠির প্রতিলিপি আমাদের হাতে রয়েছে। হযরত মাওলানা সদরুদ্দিন আনসারী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ এহেন শরীয়ত বিরোধী কাজের প্রতিবাদ পূর্বক এহেন জমিয়তের সংঙ্গ ত্যাগ করে জমিয়ত নামক সর্বভারতীয় সংস্থা গঠন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, যে ভারতের যে সকল রাজ্যে এখনো এমারত প্রতিষ্ঠিত হয় নাই সেসব রাজ্যে এমারত প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে যেখানে শরীয়ত সম্মতভাবে এমারত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে পাল্টা এমারত প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য জনগণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কি হতে পারে? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ১৯৭৬ সালে মরহুম মাওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী সাহেবকে উত্তর পূর্ব ভারতের আমীরে শরীয়ত নির্বাচন করা হয়, তখন জমিয়ত নেতৃত্ব “আমীরে শরীয়ত “এর অপব্যাখ্যা করে পাল্টা সরকার গঠন করা হয়েছে বলে আসাম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ করেন। যে অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ন‌গাঁও জেলার মুড়াঝারে ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত এমারত শরয়ীয়াহর কনফারেন্স এর বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা বলবৎ করা হয় ।তারপর এই বিষয় নিয়ে তৎকালীন আসামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শরৎচন্দ্র সিনহা এমারতে শরয়ীয়াহ কর্তৃপক্ষ ও জমিয়ত কর্তৃপক্ষকে আহ্বান করে দিসপুর জনতা ভবনে বৈঠক ডাকেন। এই বৈঠকে এমারত শরয়ীয়াহর পক্ষ থেকে মওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী ,আমীরে শরীয়ত ,উত্তর পূর্ব ভারত সহ মরহুম আমীরে শরীয়ত হযরত আল্লামা তৈয়ীবুর রহমান বড়ভুঞা সাহেব ,মরহুম মৌলানা নঈম উদ্দিন সাহেব, মৌলানা নাসির উদ্দিন চৌধুরী সাহেব উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অপরপক্ষ জমিয়ত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন নি । তাছাড়া ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জনাব ফখরুদ্দিন আলী আহমেদের নিকট জমিয়ত নেতৃবৃন্দ পুনরায় একই অভিযোগ উত্থাপন করেন।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি উভয়পক্ষকে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে ডাকেন। এই আহবানে সাড়া দিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম আমীরে শরীয়ত মৌলানা মরহুম আব্দুল জলিল চৌধুরী সাহেব নির্ভীকভাবে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে হাজির হন, কিন্তু অভিযোগকারী জমিয়ত নেতারা সম্মুখে হাজির হওয়ার সাহস করতে পারেন নাই ।রাষ্ট্রপতি মহোদয় দ্বিতীয়বার উভয়পক্ষকে আহ্বান জানালেও অভিযোগকারীরা দ্বিতীয়বারও অনুপস্থিত থাকেন। অতঃপর রাষ্ট্রপতি জনাব ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ মওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরীর এর নিকট থেকে যাবতীয় বিষয় অবগত হয়ে নির্ভীকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
সর্বভারতীয়” মুসলিম পার্সোনাল লো বোর্ড” ভারতের সকল মুসলিম সংস্থার এক ঐক্য মঞ্চ। সুন্নি ,শিয়া ,দেওবন্দী বেরল‌ওয়ী, আহলে হাদিস,নদ‌ওয়া, জমিয়ত, জামাতে ইসলামী প্রভৃতি সংস্থার নেতৃবর্গ পার্সোনাল লো বোর্ডের কার্যকরী কমিটির সদস্য। পার্সোনাল লো বোর্ডের সভা কার্যবিবরণী প্রচারে জাতীয় স্তরের প্রচার মাধ্যম হযরত মাওলানা আছাদ মাদানী সাহেবকে আমীরে হিন্দ পরিচয় না দিয়ে জমিয়ত উলামার সভাপতি হিসেবে পরিচয় প্রদান করে। ঐ একই সভায় উপস্থিত আল্লামা তৈয়ীবুর রহমান বড়ভুঞা সাহেবের নামের সঙ্গে আমীরে শরীয়ত আসাম উল্লেখ করে পরিচয় প্রদানের অজস্র উদাহরণ বিদ্যমান আছে।

একটি মজার গল্প

রাজ দরবারে একদিন এক জেলে
একটি বড়সড় মাছ নিয়ে গেলো।
রাজামশাই মাছটি দেখে খুব খুশি হলেন
কারণ মাছ তাঁর খুব প্রিয় খাবার ছিলো ।
এজন্য রাজামশাই খুশি হয়ে জেলেকে
৫০ টাকা দিয়ে দিলেন। সেই আমলে
১০ টাকা মানে অনেক কিছু।
এদিকে পাশেই বসে থাকা রাণী ফিসফিস
করে রাজাকে বললেনঃ
এই মাছটার দাম তুমি ৫০ টাকা দিয়ে দিলে….?
বড়জোর খুশি হয়ে তাকে ১৫ থেকে
২০ টাকা দিতে পারতে !
মাছ ফেরত নিয়ে টাকা ফেরত দিতে বলো…!!
রাজামশাই বললেনঃ একি বলো রাণী !
রাজারা যা বলে তা নড়চড় করা অসম্ভব
তাছাড়া এটাতো রাজাদের ইজ্জতের ব্যাপার ।

রাণী বললেনঃ
আমি এমন একটা বুদ্ধি দিচ্ছি যা প্রয়োগ
করলে তোমার সন্মানের কোনো হানি
হবে না। জেলে মাছ নিয়ে টাকাও ফেরত দিবে।
রাজামশাই বললেনঃ কি বুদ্ধি ?
রাণী বললেনঃ জেলেকে ডেকে বলবে,
তোমার মাছটা কি পুরুষ না স্ত্রী ?
যদি জেলে বলে মাছ পুরুষ তাহলে তুমি
বলবে আমার স্ত্রী মাছ লাগবে আর যদি
জেলে বলে মাছ স্ত্রী তাহলে তুমি বলবে
আমার পুরুষ মাছ লাগবে!
অতএব,জেলে তখন মাছ ফেরত নিতে বাধ্য হবে!

রাজা রাণীর বুদ্ধিতে খুশি হয়ে জেলেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ
তোমার মাছটা কোন জাতের ? পুরুষ না স্ত্রী ?

জেলে থতমত হয়ে একটু ভেবে চিন্তে বললোঃ
জাঁহাপনা, আমার মাছটা পুরুষও না স্ত্রীও না !
আমার মাছটা হলো হিজড়া!

এবার রাজদরবারে হাসির রোল পড়ে
গেলো। রাণীও শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ
ঢেকে হাসলেন!
রাজা জেলের বিচক্ষণতা দেখে খুশি
হয়ে আরও ৫০ টাকা দিয়ে দিলেন।
জেলে খুশি হয়ে মোট ১০০ টাকা
পোটলায় নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে।
রাজমহলের মেইন গেইটের সামনে
যেতেই পোটলা থেকে ৫ টাকার
মাটিতে পড়ে গেলো।
জেলে তা তুলে চুমু খাচ্ছে, কপালে লাগাচ্ছে।
এদিকে রাণী তা দেখে রাগে ফোঁস ফোঁস করছে।

রাণী বললেনঃ জাঁহাপনা, এই জেলে
এত লোভী কেন ? ১০০ টাকা থেকে
মাত্র ৫ টাকা পড়ে গেছে জেলের তা সহ্য হচ্ছে না।
জাঁহাপনা ! আপনি তাঁকে শাস্তি দেন !
রাজাও ভাবলেন, ঠিকই তো। মাত্র
৫ টাকা পড়ে গেছে ! গেট দিয়ে কতো
গরিব মানুষ আসা যাওয়া করে তারা
না হয় কুঁড়িয়ে নিতো ।

রাজামশাই জেলেকে ডেকে বললেনঃ
এই লোভী জেলে ? তোমার এতো লোভ
কেন ? এতো টাকা দিয়েছি তোমায় মাত্র
৫ টাকা লোভ সামলাতে পারলে না ? তা
তুলে চুমু খাচ্ছো ? তোমাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে।

জেলে বললঃ জাঁহাপনা ! আমি কিন্তু
লোভের কারণে ঐ টাকা তুলে চুমু খাইনি।
টাকার গায়ে আমার রাজামশাই ও রাণী
মা’র নাম লেখা আছে,
তাই ভাবলাম, টাকাটা মাটিতে পড়ে
থাকলে হয়তো অন্য কোনো মানুষ পা
দিয়ে পিষবে আর আমার রাজা ও রাণী
মা’র ইজ্জতের হানি হবে। তাই আমি
টাকাটা তুলে চুমু খেলাম এবং কপালে
ঠেকিয়ে সালাম করলাম।

এবার রাজামশাই আরও খুশি হয়ে
জেলেকে আরও ১০০ টাকা দিলেন।
সর্বমোট ২০০ টাকা দিয়ে জেলে বিদায় করলেন।
আর রাজা ঘোষককে বললেন, তুমি সমগ্র রাজ্যে ঘোষণা করে দাও কেউ যেন বউয়ের বুদ্ধিতে না চলে।

আর এটাও বলে দাও বউয়ের বুদ্ধিতে চললে ৫০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা লোকসান হবে!! 🤓

-সংগৃহীত

পানিঘাট বাজার মসজিদে ইমাম ও মুয়াল্লিমদেরে হাদিয়া প্রদান

করিমগঞ্জ জেলার ভিতরগুল পানিঘাট আঞ্চলিক নদওয়ার উদ্যোগে আজ ০৩ জুলাই ২০২০ শুক্রবার বিকাল ২-০০ ঘটিকায় পানিঘাট বাজার মসজিদের অত্র আঞ্চলিকের ২৪ জন ইমাম ও মুয়াল্লিমকে এক কালিন ১০০০/- (এক হাজার) টাকা করে হাদিয়া প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয় নদওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিকের কর্মকর্তা ও কর্মীগণের উদ্যোগে স্বহৃদয় ব্যক্তি বর্গ থেকে টাকাগুলো সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ইমাম ও মুয়াল্লিমদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। আঞ্চলিক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অত্যন্ত সারগর্ভ আলোচনা করেন এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদওয়াতুত্ তামীরের প্রশাসনিক সম্পাদক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাহেব। আল জামিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা ওয়ারিছ আহমদ সাহেব, অফিস সেক্রেটারি মাওলানা নয়ীম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা যুব নদওয়ার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা যশিম উদ্দিন প্রমুখ। সকল বক্তারা তাদের মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন আমীরে শরীয়ত ১ম ও আমীরে শরীয়ত ২য় এর রেখে যাওয়া কর্মগুলো যথাযথ ভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। বিশেষ করে ছবাহী মক্তবের শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আঞ্চলিক সম্পাদক মাষ্টার আসদ্দর আলী সাহেবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভিতরগুল সিনিয়র মাদ্রাসার অধিক্ষক মাওলানা সব্বির আহমদ সাহেব, মাওলানা কুতুব উদ্দিন সাহেব, মাওলানা ইসলাম উদ্দিন সাহেব, মাওলানা আব্দুল ওয়ারিস, মাওলানা নজরুল ইসলাম সহ আঞ্চলিকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মীবৃন্দ।

আমি নিজেও কখনো ভাবিনি ।

আমি নিজেও কখনাে এভাবে ভাবিনি।
ফজরঃ ২ x ৩৬৫ দিন = ৭৩০ রাকাআত
যােহরঃ ৪ x ৩৬৫ দিন= ১৪৬০ রাকাআত
আসরঃ ৪x ৩৬৫ দিন= ১৪৬০ রাকাআত
মাগরিবঃ ৩ x ৩৬৫ দিন= ১০৯৫ রাকাআত
এশাঃ ৪x ৩৬৫ দিন= ১৪৬০ রাকাআত
মােট
= ৬২০৫ রাকাআত
সুন্নাত এবং নফল সালাত তাে বাদই দিলাম।
১ বছরে (৩৬৫ x ৫) = ১৮২৫ ওয়াক্ত সালাত অর্থাৎ বছরে ১৮২৫ বার
আপনাকে আযানের মাধ্যমে ডাক দেয়া হয়।

আপনি: কয়বার সাড়া দিয়েছিলেন?

আপনার মনে কি একটুওঅনুশােচনাহওয়ারকথানা!!

কি ভেবেছেন আল্লাহর কাছে হিসাব দিতে হবে না??

এখানে শুধু ১ বছরের একটু ধারনা তুলে ধরা হল, আল্লাহ্’র কাছে পুরাে
জীবনের হিসাব কিভাবে দেব??
কি অবস্থা হবে সেদিন??
আসুন! আজ থেকেই ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা শুরু করি। আল্লাহর ডাকে
সাড়া দেই।আল্লাহকে ডাকি। (আল্লাহ) নিশ্চয়ই আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার
তৌফিক দান করুক,আমিন

☆ আমি একজন ইমাম ☆

আমি একজন ইমাম চ্যালেন্জ করছি আজ দেখাও আমায় আমার মতো কে করে আর কাজ? আমার অফিস শুরু হয় যখন ভোর রাত রাত্র নয়টায় বন্ধ করলেও শুনি কটু বাত নারী করে এক স্বামীর ঘর আমার কি আছে শেষ যে না পারে সে-ও এসে নানা সময় করে আদেশ একটি অফিস আছে কি এমন ঘড়ি দেখে কাজ চলে? একটি মিনিট এদিক হলেই, আমায় কটুকথা বলে সব অফিসারের শত ভুলেও নেই যে কারো কোন দৃষ্টি আমার একটু ভুল হলেই ঝরে আল্লাহু আকবার বৃষ্টি অফিসারের বেতন কতো? সেটা না-হয় বাদই দিলাম পিয়ন যিনি তার বেতনটা বুঝার জন্য তোলে নিলাম মাস পার হলে বেতন হাজার বিশ না হলেও কাছাকাছি সে খবর কি রাখে কেহ? আমরা কিভাবে বেঁচে আছি? বলবে হয়তো সম্মান বেশি তাতে কি আর পেট ভরে? হাট-বাজারে,ঔষধের দোকানে আমাদের কি কেউ দয়া করে? ইংরেজি আর অংক স্যারের মাইনেটা আসে হলুদ খামে কুরআন শিক্ষার পঞ্চাশ টাকা দিতে গেলেই শরীর ঘামে জন্ম হলে আযানটা দেই যৌবনে দেই বিয়ে মরার পরে গোসলটা দেই সাবান লোবান দিয়ে সাদা কাপড়ের কাফনটা দেই জানাজা দেই মাঠে কবরেতে সাওয়াবটা দেই আমরাই কুরআন পাঠে এমন একজন দেখাও তোমার সকল কাজে লাগে? রমজান মাসে নিশি রাতে তোমার জন্য জাগে? এবার বলি আরও একটা মোদের দুঃখের কথা কেউ ভাবেনা কেউ দেখেনা মোদের এ সব ব্যথা সকল কাজে ছুটি আছে আমার কাজে নাই বাড়ি গেলেও নামাজ কি আর মাফ আছে রে ভাই? চাকরিতে যা ছুটিতেও তা এটার নাম কি ছুটি? ভাগ্য দোষে কাতল মাছ আজ হলাম চুনোপুঁটি আল কুরআনের সুরা তওবার আঠারো নম্বর আয়াত থাকলে চালু হতাম কি আর মসজিদ কমিটির বায়াত? কুরআন ছাড়ায় পোড়াচ্ছে আজ জ্বালাচ্ছে সবখানে পরকালেও জ্বালাবে এ আগুন তাই চলি সাবধানে।। -: ধন্যবাদ :- এম, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক ত্রিপুরা ইমাম অর্গেনাইজেশন।

হুজুর নিয়ে এত চুলকানি কেন ? একটি শিক্ষণীয় পোস্ট ।

একটি শিক্ষণীয় পোস্ট ।

হুজুর হয়ে বিয়ের কথা বলো লজ্জা করে না?
“হুজুর হয়ে এনড্রোয়েড চালাও কেন?
“হুজুর হয়ে ট্যাব চালাও কেন?
“হুজুর হয়ে রাস্তায় কি?
“হুজুর হয়ে মাথায় টুপি নাই কেন?
“হুজুর হয়ে নদীর পারে কি?
“হুজুর হয়ে হেড ফোন দিয়ে কি করো?
“হুজুর হয়ে চুইংগাম খাও কেন?

“হুজুর হয়ে মার্কেট করো কেন?
“হুজুর হয়ে বাজারে কি?
“হুজুর হয়ে চিপস খাও কেন?
“হুজুর হয়ে সিম চালাও কেন?
“হুজুর হয়ে মেমোরি চালাও কেন?
“হুজুর হয়ে মোবাইলে পাসওয়ার্ড মারা কেন?
“হুজুর হয়ে রেষ্টুরেন্টে কি করো?
“হুজুর হয়ে মোবাইলে টাকা লোড করো কেন?
“হুজুর হয়ে ফেইসবুক চালাও কেন?
“হুজুর হয়ে এত্তগুলো সফটওয়্যার কেন?
“হুজুর হয়ে ডাক্তারি পড়ো কেন?
“হুজুর হয়ে ইংরেজি পড়ো কেন?
“হুজুর হয়ে কলেজে কেন?

“কেনরে ভাই! হুজুরেরা কি ভিন্ন গ্রহের জীব?
তারা কি মানুষ না? তাদের কি মন বলতে কিছু নেই? তাদের কি স্বাধীনতা নেই? হুজুররা কি এদেশে সামাজিক ভাবে জীবনযাপন করতে পারেনা? মনে রাখবেন!

“ওলামায়ে কেরাম নবী গনের ওয়ারিশ, তাই বলছি! যারা সবসময় হুজুরদের দোষ খুঁজে বেড়ান, তাদেরকে বলছি! দয়া করে এই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটান! নচেৎ আপনাদের মৃত্যুর পর জানাযা পড়ানোর মত
কোন হুজুরকেও খুঁজে পাবেন না।

❐ # হুজুরের দোষ পাইলে তো আর ছাড়াছাড়ি নাই ❐ ◉ হুজুর নিজের বউ নিয়া হাটতেছে, কয়, দেখছ নি কত বড় বেদ্দব হুজুর! # মাইয়া নিয়া হাটে! ◉ জামা যদি একটু বড় হয়, কয় হুজুররা কাপড়ের দাম বাড়াইছে! জামা ছোট হলে কয়, ট্যাডি হুজুর! ◉ হুজুরের পেট বড় হলে কয়, পরের খানা খাইতে খাইতে পেটটারে # জাহান্নামের তাগারি বানাইছে! ◉ যদি হুজুর শুকনা হয় তাইলে কয়, মাদ্রাসায় পড়ে লাভ কি! খাইতেও পারে না! ◉ দাওয়াত খাইতে গেলে যদি একটু বেশি খায় তাইলে কয়, পরের খানা পাইলে হুজুররা একটু বেশিই খায়! আর যদি কম খায় তাইলে কয়, হুজুর আর কয় জায়গায় দাওয়াত আছে?! ◉ আবার কিছু মানুষ কয়,এই দেশটারে হুজুররা শেষ করছে! ◉ ও #

মুসলিম ! জেনে রাখো… কুকুর মরে, ছাগল মরে, বিড়াল মরে, গরু মরে, পশু মরে জানাজা হয় না।পৃথিবীর জমিনে যদি হুজুররা (উলামায়ে-আকরাম) না থাকত, তাইলে তোমার মরণটা কুকুরের মতো জানাজা ছাড়া হইতো। ◉ সুতরাং, হুজুরদের ঘৃণা করবেন না। হুজুরের পিছনে লাগবেন না। হুজুরদের সম্মান করুন। ◉ আল্লাহু, আমাদের সবাইকে প্রকৃত মুসলিম হওয়ার তাওফিক দান করুক। আমীন # ধন্যবাদান্তে #

এম, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ
প্রচার সম্পাদক
ত্রিপুরা এরাবিক এডুকেটেড্ ফোরাম।

ভারতীয় মুসলমানদের নিজস্ব মিডিয়া প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা

মুসলমানদের নিজস্ব প্রচার মাধ্যম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা। দেশের প্রীন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ইসলাম ও মুসলমানদের পরিচয় অত্যন্ত বিরক্তিকর ভাবে অহরহ উপস্থাপন করে যাচ্ছে। মুসলিম জাতি এই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ও প্রতিবাদ করতে পারছে না। কারণ তাদের পর্যাপ্ত পত্র- পত্রিকা বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দখলদারিত্ব নেই। নিজের সম্প্রদায়ের কাছে ও নিজের বক্তব্য তুলে ধরার ব্যবস্থা নেই। সবসময় অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। ইনসানিয়ত পত্রিকা, হিদায়ত, পয়গাম,নেদায়েদ্ধীন,সবুজ মিনার, শান্তির সোপান, নবজাগরণ,আলহিলাল,নয়া কাফেলা,ছৌতুল ইছলাম,নেদায়ে ইসলাম,সিরাজে মুনীর ইত্যাদি ধর্মীয় পত্রিকা বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন জনের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগোলু মৃত্যুর শিকার হয়েছে।দামাল,কলম,তালিম, আজাদ,ডালিম,যুগানজলী,মীমান, মুজাহিদ প্রভৃতি সপ্তাহিক পত্রিকা বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগোলুও মৃত্যুর শিকার হয়েছে। সাহিত্য সাময়িকী হিসেবে অহরহ, ভুবন, রেনেসাঁ, জাগ্রত বরাক, চম্পাকলি,কলি কুসুম, অনির্বাণ শিখা প্রভৃতি সপ্তাহিক বা মাসিকের ও আজ সন্ধ্যান নেই। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় মানুষের কাছে ১৯৭৯ সালের ১৫অকটোবরে হযরত মাওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরীর প্রিষ্টপোষকতা ও মাওলানা আতাউর রহমান মাঝারভূইয়ার সম্পাদনায় প্রকাশিত নেদায়েদ্ধীন আজ ও অবিচল ভাবে বহু ঘাত_প্রতিঘাত সহ্য করে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সম্প্রতি এন ডি টিভি চ্যানেলের বলিষ্ঠ সাংবাদিক রবিশকুমার মুসলমানদের নিজস্ব প্রচার মাধ্যম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। তার এই আলোচনার পর প্রাক্তন সাংসদ আদিল শাহ একটি টিভি চ্যানেলের বলিষ্ঠ উদ্যোগ নিয়েছেন। এমতাবস্থায় আমাদের সমাজের সচেতন মহলকে নেদায়েদ্ধীনের প্রচার ও প্রসারের জন্য নিজে বার্ষিক ৩০০ টাকা দিয়ে গ্রাহক হয়ে ও অন্যকে গ্রাহক বানানো সহ অন্যান্য মিডিয়া প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া সময়ের দাবি।

Design a site like this with WordPress.com
Get started